করোনা টিকা মজুতে বিশেষ গুদাম বানাচ্ছে ভারত

করোনার টিকা যথাযথভাবে মজুত করতে দেশব্যাপী বিশেষ কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করছে ভারত। ভ্যাকসিন ভালো রাখতে হলে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তা সংরক্ষণ করা জরুরি বলে জানা গেছে।

করোনার টিকা মজুত করতে আগেভাগেই দেশ জুড়ে কোল্ড স্টোরেজের বন্দোবস্ত করার কথা ভাবছে দেশটির সরকার। সরকারি-বেসরকারি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা, কৃষি বিপণন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা, এমনকি স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছে সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটি।

বিশেষজ্ঞদের আশা, একটি ভারতীয় ও অন্তত তিনটি বিদেশি টিকা কয়েক মাসের মধ্যে হাতে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সেগুলিকে মজুতের বন্দোবস্ত করতে হবে।

চীন

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রোধে বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্সের সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। এখন পর্যন্ত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যাকসিনটির চাহিদা বাড়ছে। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোভ্যাক্স সরবরাহে দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করছে বেইজিং।

যুক্তরাজ্য

মার্কিন প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্সের তৈরি করোনার ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের ট্রায়াল চলছে যুক্তরাজ্যে। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের গবেষকরা প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার মানুষের দেহে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেন। এতে আশানুরূপ ফলাফলও মিলেছে। এরপর আরও আড়াই লাখ স্বেচ্ছাসেবী এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিবেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

সংযুক্ত আরব আমিরাত

চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের তৈরি কোভিড নাইন্টিনের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ হলে আগামী বছরই সাড়ে ৭ কোটি থেকে ১০ কোটি ডোজ পর্যন্ত ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।

ইউরোপিয়ন কমিশন

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, করোনার জন্য ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভিরের ৫ লাখ ডোজ পেতে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গিলিড সাইন্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। করোনার সুনির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন সহজলভ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এ ওষুধের সুফল দেখা যাওয়ায় এ চুক্তি করেছে সংস্থাটি।

আপনি আরও পড়তে পারেন